শ*হীদ দিবস, একুশে ফেব্রুয়ারি ও ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে ১০ টি বাক্য
১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারির দিনটিতে ভাষা আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে নিহত হয় সালাম, রফিক, বরকত এবং জব্বার সহ নাম না জানা অনেকেই। ভাষার জন্য আত্মত্যাগ কারী এ সকল ব্যক্তিদের স্মরণে প্রতিবছর শ*হীদ দিবস পালন করা হয়। পুরো বাঙালি জাতির জন্য এই দিনটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
তাই এই দিনকে কেন্দ্র করে শ*হীদ দিবস এবং মাতৃভাষা দিবস হিসেবে শ*হীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় নানা কর্ম দিবস পালন করা হয়। তবে এ ভাষা আন্দোলনের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস আমরা সকলেই জেনে থাকি। আবার অনেকেই রয়েছে যাদের ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা নেই। তবে বর্তমান সময়ে শিক্ষার্থীদের এই সকল গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস সম্পর্কে গুরুত্ব জেনে রাখা উচিত।
কেননা শ*হীদ দিবস এবং ভাষা দিবস নিয়ে ও ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি ভাইভা পরীক্ষাতে নানা ধরনের প্রশ্ন এসে থাকে। তাই বাংলাদেশের আকাশে ঘটে যাওয়া সেই মর্মান্তিক হৃদয়বিদারক ঘটনার সংক্ষিপ্ত ইতিহাসের সাক্ষী হতে এ পোস্ট থেকে শ*হীদ দিবস সম্পর্কে ১০ টি বাক্য জেনে নিন। যা পরবর্তীতে এই দশটি বাক্য আপনার অনেক বেশি উপকারে আসতে পারে।
শ*হীদ দিবস সম্পর্কে ১০ টি বাক্য
বাংলাদেশে বিসিএস পরীক্ষা অথবা যেকোনো সরকারি এবং বেসরকারি চাকরির পরীক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পর্কে নানা ধরনের প্রশ্ন এসে থাকে। এর মধ্যে উল্লেখিত শ*হীদ দিবস সম্পর্কে ১০ টি বাক্য লিখ এরকম প্রশ্ন এসে থাকে। শ*হীদ দিবস সম্পর্কে আপনার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস জানা থাকলেও। নিচের দশটি বাক্য থেকে আপনি বিস্তারিত শ*হীদ দিবস সম্পর্কে জানতে পারবেন।
আর পরীক্ষায় উত্তরের আশায় শ*হীদ দিবস সম্পর্কে না জেনে নিলেও আমাদের বাঙালি হিসেবে শ*হীদ দিবস সম্পর্কে অবশ্যই এসকল কথাগুলো জেনে রাখা উচিত। যাদের আত্মত্যাগ আমরা বাংলা ভাষা পেয়েছি তাদের সম্মানে এবং শ্রদ্ধায় তাদের ছোট্ট এবং মর্মান্তিক ইতিহাস জেনে রাখা উচিত।
একুশে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে ১০ টি বাক্য
১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারিতে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে বাঙালি নিরীহ ছাত্র সমাজের উপর গুলি চালায় এবং এতে অনেকে নিহত হয়। তাদের এই জীবনের বিনিময়ে আমরা আজ বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারছি। তাই যারা তাদের স্মরণে এবং সামনের একুশে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে দশটি বাক্য জানতে চাচ্ছেন। তারা এই পোস্ট থেকে দশটি বাক্য বিস্তারিত জেনে নিন।
- ভাষার জন্য শ*হীদ হওয়া ব্যক্তিদের স্মরণে প্রতিবছর ২১ ফেব্রুয়ারি বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়।
- ১৯৫২ এর একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষার জন্য শ*হীদগণ নিজেদের কে উৎসর্গ করে আমাদের মাতৃভাষা উপহার দিয়েছেন।
- ছাত্র-জনগণের বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের গুলিতে শ*হীদ হন সালাম, রফিক, বরকত, জব্বার, শফিউরসহ আরও অনেকে।
- বাংলাদেশের সকল জায়গায় ভাষা শ*হীদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রতিবছর ২১ ফেব্রুয়ারি সকল বাঙালি জাতি শ*হীদ মিনারে ফুল প্রদর্শন করে থাকে।
- তৎকালীন পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চাপিয়ে দিতে চাইলে বাঙালি জাতির মর্যাদা রক্ষার জন্য এই আন্দোলন গড়ে তোলে।
- ভাষা আন্দোলনের শ*হীদদের স্মরণে প্রতি বছর ২১ শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এবং শ*হীদ দিবস ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়।
- ভাষা আন্দোলনের তীব্রতায় ১৯৫৬ সালে পাকিস্তান সরকার বাধ্য হয়ে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
- সেদিন ভাষা শ*হীদদের উপর ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে পুলিশেরা গুলি বর্ষণ করে।
- ১৯৯৯ সালে ভাষা শ*হীদের সম্মানার্থে ইউনেস্কো ২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেন।
- ভাষা শ*হীদদের আত্মত্যাগের আদর্শ আমাদের অনুপ্রাণিত করে।
ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে ১০ টি বাক্য
আমরা হচ্ছি বিশ্বের একমাত্র বাঙালি জাতি, যে জাতি ভাষার জন্য আন্দোলন করেছিল। এবং অনেক তরুণ ছাত্র সমাজকে জীবন দিতে হয়েছিল। তাই এই ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে ১০ টি বাক্যের মাধ্যমে একুশে ফেব্রুয়ারির সেই সংক্ষিপ্ত ইতিহাস জেনে নেওয়া যায়। সালাম, বরকত, রফিকসহ নাম না জানা অনেকেই তাদের জীবনকে বিপন্ন করে রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই দাবিতে এক বড় মিছিল বের করেছিল।
সেই মিছিলে অন্যতম প্রধান কারণ ছিল পাকিস্তানের শাসকবর্গ বাংলা ভাষার পরিবর্তে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। আর এই ঘোষণা মেনে নেইনি বলেই এক বড় মিছিল বের করেছিল। আর এই মিছিলেই অনেকে নিহত হয়। তারপর থেকেই তাদের সম্মানে এবং শ্রদ্ধায় প্রতিবছর মাতৃভাষা দিবস, শ*হীদ দিবস এবং জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়।
শেষ কথা
আশা করতেছি ইতিমধ্যে আজকের এই আলোচনা থেকে আপনারা বাংলাদেশের জাতীয় শোক দিবস। অর্থাৎ শ*হীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সম্পর্কে দশটি বাক্যের মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত ইতিহাস জানতে পেরেছেন। যদি সত্যিই শ*হীদ দিবস সম্পর্কে ১০ টি বাক্য জেনে নিয়ে উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অন্যদেরকে শেয়ার করে দিন। ধন্যবাদ