আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস রচনা
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস যা সকল মানুষের ভাষা ও সাংস্কৃতিক পরিচয় এর মূল্যায়ন করে। প্রথম মূলত ১৯৪৮ সালে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ “Urdu and Urdu alone shall be the state language of Pakistan” এই ঘোষণা তীব্র প্রতিবাদ জানায়। এরপর থেকে আন্দোলন আরো তীব্রভাবে শুরু হয়ে যায়। এবং আরো শক্তিশালী হয়ে ওঠে। এবং ঢাকায় প্রত্যেক সমাবেশ ১৪৪ ধারা জারি করে নিষিদ্ধ করে দেয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ছাত্ররা ১৪৪ ধারা জারি ভঙ্গ করে রাজপথে নামে। তখন পুলিশ গুরুতর ভাবে সকল ছাত্রদের উপর অনাগত গুলি বর্ষণ করে। পুলিশের গুলি বর্ষণে সালাম, বরকত সহ আরো অন্যান্য মানুষ মৃ*ত্যুবরণ করেন। এরপর ১৯১৫২ ভাষা আন্দোলন বাঙালি জয়লাভ করে। এরপর ১৯৫৪ সালে পাকিস্তান সরকার বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়।
প্রতিবছরে সকল শ*হীদদেরকে কেন্দ্র করে ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়। ১৯৫২ সালের র*ক্তে রাঙানো এই দিনটি প্রত্যেক বাঙালির কাছে এক স্মরণীয় দিন। প্রত্যেক শিক্ষার্থীরা স্কুলের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মাতৃভাষা দিবস নিয়ে বিভিন্ন রচনা উল্লেখ করে থাকে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস রচনাটি দেখতে চাইলে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়তে থাকুন।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস রচনা
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস: ভাষার অমর গৌরব
ভূমিকা:
ভাষা মানুষের জীবনে অপরিহার্য। ভাব প্রকাশের মাধ্যম, জ্ঞান অর্জনের চাবিকাঠি, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের বাহক – ভাষা আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে জড়িত। আমাদের গর্ব, আমাদের অহংকার, মাতৃভাষা বাংলা। ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারী, এই ভাষার জন্য জীবন দিয়েছিলেন বহু সাহসী যুবক। তাদের ত্যাগের বিনিময়ে আজ আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারছি, লিখতে পারছি।
ভাষার গুরুত্ব:
ভাষা কেবল কথা বলার মাধ্যম নয়, এটি আমাদের অস্তিত্বের প্রতীক, জ্ঞানের চাবিকাঠি। ভাষার মাধ্যমে আমরা আমাদের চিন্তা-ভাবনা প্রকাশ করি, জ্ঞান অর্জন করি এবং অন্যদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করি। ভাষা আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ধারণ করে চলার পথে সহায়তা করে।
ভাষা আন্দোলন:
১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারী, বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা আন্দোলন শুরু করে। পুলিশের গুলিতে শ*হীদ হন সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, শফিকসহ আরও অনেক যুবক। তাদের ত্যাগের ফসল আমরা আজ পেয়েছি। বাংলা ভাষা পেয়েছে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস:
ভাষা শ*হীদদের ত্যাগ স্মরণে এবং বিশ্বের সকল ভাষার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো ২১ শে ফেব্রুয়ারীকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এই দিনটি পালনের মাধ্যমে আমরা ভাষা শ*হীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই এবং বিশ্বের সকল ভাষার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করি।
ভাষার বৈচিত্র্য:
বিশ্বে প্রায় ৭ হাজার ভাষা প্রচলিত আছে। ভাষার এই বৈচিত্র্য মানব সভ্যতার সমৃদ্ধির প্রতীক। ভাষার বৈচিত্র্য রক্ষা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব।
বাংলা ভাষার বিকাশ:
বাংলা ভাষা বিশ্বের অন্যতম সমৃদ্ধ ভাষা। সাহিত্য, কবিতা, গান, নাটক, চলচ্চিত্র, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অভূতপূর্ব বিকাশ ঘটেছে বাংলা ভাষায়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, জীবনানন্দ দাশ, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, শেক্সপিয়ারের অনুবাদক সুকুমার রায়ের মতো সাহিত্যিকদের অবদান বাংলা ভাষাকে করেছে আরও সমৃদ্ধ।
উপসংহার:
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস আমাদের সকলকে ভাষার গুরুত্ব ও মর্যাদা সম্পর্কে সচেতন করে তোলে। আমাদের সকলের উচিত মাতৃভাষা ও অন্যান্য ভাষার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া এবং ভাষার বৈচিত্র্য রক্ষা করা।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস রচনা ২০ পয়েন্ট
মূলত ১৯৪৮ সাল থেকে বাংলা ভাষার আন্দোলনের উৎপত্তি ঘটে। সর্বপ্রথম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডক্টর মোহাম্মদ শ*হীদুল্লাহ বাংলা ভাষার প্রস্তাব করেন। পাকিস্তানিরা এই বাংলা ভাষাকে অমত জানায়। এরপর থেকে ভাষা আন্দোলনের ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়। এই ভাষার আন্দোলন জয়লাভ করার পর প্রতি বছরে বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিক ভাবে এ দিবসটি উদযাপন করা হয়।
২১ শে ফেব্রুয়ারি রচনা
ভাষা শ*হীদদের আত্মত্যাগ এবং তাদের স্মৃতি স্মরণে প্রত্যেক বছরেই আন্তর্জাতিকভাবে একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক ভাষা আন্দোলন দিবস পালন করা হয়। একুশে ফেব্রুয়ারি দিনটি সকল বাঙালির জন্য একটি মাইলফলক এবং স্মৃতি স্মরণীয় দিন। মূলত বাংলা ভাষার ইতিহাসে আন্তর্জাতিক ভাবে একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনের বিজয় ঘোষণা করা হয়। একুশে ফেব্রুয়ারীর বিজয় নিয়ে বিভিন্ন ধরনের রচনা রয়েছে।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস রচনা ২০০ শব্দের
স্কুল কলেজের বিভিন্ন পরীক্ষায় মাতৃভাষা দিবস নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। বিশেষ করে ফেব্রুয়ারি মাসে বাসায় শ*হীদের স্মরণ করে রাখার জন্য এই প্রশ্নে গুলো উল্লেখ করে। এই প্রশ্নের উত্তর জানার কারণে মাতৃভাষা দিবস সম্পর্কে ধারণা হয়ে যায়। আমরা আপনাদের সুবিধার্থে উপরে এই পোস্টটিতে ২০০ শব্দ নিয়ে সুন্দর একটি মাতৃভাতা মাতৃভাষা দিবসের রচনা উল্লেখ করেছি। আমাদের উপরে লেখাটি পড়লে রচনাটি দেখতে পারবেন।
শেষ কথা
আপনারা যারা বিভিন্ন অনুষ্ঠান এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার ক্ষেত্রে মাতৃভাষা দিবস নিয়ে রচনা খুজতেছিলেন। সকল ভাষা শ*হীদের স্মরণে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস নিয়ে সুন্দর একটি রচনা আমরা এই পোস্টে উল্লেখ করেছি। আশা করি আপনি আমাদের সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস রচনা টি দেখতে পেরেছেন। ধন্যবাদ