ই পাসপোর্ট কত দিনে পাওয়া যায় ২০২৫
যেকোনো দেশের সকল নাগরিকের ই পাসপোর্ট থাকা অত্যন্ত জরুরি। ই পাসপোর্ট প্রক্রিয়া এবং প্রয়োজনীয় সময় বিভিন্ন দেশে ভিন্ন হতে পারে এবং এটি সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারি নীতি, প্রক্রিয়া এবং ভাষার উপর ভিত্তি হয়। জানুন কীভাবে বাংলাদেশে ই পাসপোর্ট অনুমোদন প্রক্রিয়া করা হয় এবং আপনি কতদিনে তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। সহজ এবং উপযুক্ত তথ্য পেতে আমাদের সঙ্গে থাকুন এই প্রতিবেদনটি পূর্ণ করুন।
এই প্রতিবেদনে আপনাদেরকে এখন জানাবো ই পাসপোর্ট কত দিনে পাওয়া যায়, এবং ই পাসপোর্ট নিয়ে বিস্তারিত নানাবিধ তথ্য। ই পাসপোর্ট সকলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। যদিও এটা নিয়ে অনেকেই মাথা ঘামায় না তারা হয়তো জানেন না এটা কতটা জরুরি প্রয়োজনীয় একটি জিনিস। আপনারা অনেকেই পাসপোর্ট কতদিনে পাওয়া যায় তা অনলাইনে খুঁজে থাকেন। তাই সঠিক তথ্য পেতে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। ই-পাসপোর্ট ৪৮ ও ৬৪ পাতার।
ই- পাসপোর্টের রয়েছে তিনটি ধরণ। অতি জরুরি, জরুরি ও সাধারণ। ৫ বছর ও ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্টের জন্য ফি ভিন্ন ভিন্ন হারে জমা দিতে হবে। এই তিন ধরনের ভিত্তিতে যদি আপনি পাসপোর্ট নিতে চান এবং এই পাসপোর্ট পেতে আপনার কতদিন লাগবে তা জানতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের এই আজকের সুন্দরতম প্রতিবেদনটি সম্পন্ন করে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন।
ই পাসপোর্ট কত দিনে পাওয়া যায় ২০২৪
মূলত এই পাসপোর্ট তিন ধরনের মাধ্যমে আপনি পেয়ে থাকবেন। জরুরী, অতীব জরুরী এবং সাধারন। আপনি যদি পাসপোর্ট আবেদনের সাথে সাথে অতীব জরুরি ভিত্তিতে পাসপোর্ট পেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে পেমেন্ট ফি একটু বেশি দিতে হবে। তারমধ্যে জরুরী ভিত্তিতে যদি আপনি পাসপোর্ট নিতে চান, তাহলে আপনার ৭ দিন সময় লাগবে এবং অতীব জরুরী ভিত্তিতে যদি আপনি পাসপোর্টে হাতে পেতে চান তাহলে তার সময় লাগবে ২ দিন, কিন্তু এর জন্য আপনাকে একটু বেশি চার্জ দিতে হবে। আর যদি আপনি সাধারণত যেভাবে সরকারি কর্মকর্তারা পাসপোর্ট ডেলিভারি দিয়ে দেখে তার সময় লাগে ১৫ দিন, তবে এখন পাসপোর্টের বেশ কয়েকটি সিস্টেম বাড়ার কারণে সাধারণত সময় লাগছে ২৫ থেকে ৩০ দিনের মতো।

ই পাসপোর্ট এর রয়েছে তিন ধরনের ডেলিভারি পদ্ধতি। যথা
- Regular Delivery – রেগুলার ডেলিভারি (সাধারণ)
- Express Delivery – এক্সপ্রেস ডেলিভারি (জরুরী)
- Super Express Delivery – সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারি (অতি-জরুরী)
আপনার হাতে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ সময় না থাকে তাহলে আপনি সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারি সিস্টেমে আপনার পাসপোর্ট তৈরি করতে পারেন। এছাড়াও আরেকটি বেতন হচ্ছে এক্সপ্রেস ডেলিভারি যা হচ্ছে জরুরী মুহূর্তে সেবা পাওয়ার জন্য। আপনার হাতে যদি অল্প কিছুদিন সময় থেকে থাকে তাহলে আপনি এই পাসপোর্ট আবেদন করতে পারেন। অপরদিকে আপনার হাতে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ সময় থেকে থাকে তাহলে খুব অল্প টাকা ব্যয় করে আপনি রেগুলার ডেলিভারি বা সাধারণ যে পাসপোর্ট রয়েছে সেটি তৈরি করতে পারেন।
ই পাসপোর্ট কত দিন লাগে?
আপনি যদি ই পাসপোর্টটি জরুরী ভিত্তিতে হাতে পেতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনাকে যা করতে হবে তা হল। অবশ্যই আপনাকে আপনার সকল কাগজপত্র সঠিক থাকতে হবে এবং সে বিষয়ে লক্ষ রাখতে হবে। কারণ আপনার কাগজপত্র যদি সঠিক না হয় তাহলে আপনি যতই জরুরী ভিত্তিতে পাসপোর্ট হাতে পেতে চান, ততই আপনার পাসপোর্টটি পেতে দেরি হবে। মূলত এই পাসপোর্টটি তিন ধরনের ডেলিভারি পদ্ধতি রয়েছে। এ তিন ধরনের মধ্যে যদি আপনি অতি জরুরী ভিত্তিতে পাসপোর্টটি পেতে চান তাহলে তার নাম হবে সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারি, এটাতে সময় লাগবে কমপক্ষে দুই থেকে তিন দিন।
নতুন ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে
আপনার হয়তো অনেকেই জানেন না যে ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে। এটা জানেন না বলেই অনেকের বড় ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়। দেখা যায় পাসপোর্ট করতে যা যা লাগে তা না জেনেই জরুরী ভিত্তিতে পাসপোর্ট অফিসে চলে যান। অতঃপর দেখা যায় আপনার প্রয়োজনীয় হয়তো কোন একটা ডকুমেন্ট নিয়ে যাননি। এজন্য আবার আপনাকে ফিরে আসতে হয়।
এজন্যই আপনাদের মাঝে এখন এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব। অবশ্যই ই পাসপোর্ট যার নামে আবেদন করা হবে তার বয়স, পেশা বৈবাহিক অবস্থা ভুল আছে কিনা তা সনাক্ত করা। এগুলো যদি কোন ভুলত্রুটি থেকে থাকে তাহলে সঠিকভাবে সমাধান করে তারপর পাসপোর্ট আবেদনকারী কে ই পাসপোর্ট এর আবেদন করতে হবে। নিচে এর সকল প্রয়োজনীয় কাগজপতির এবং ডকুমেন্টগুলোর নাম উল্লেখ করা হল।

পাসপোর্ট করতে যা যা লাগে
- পিতামাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি (শিশুদের ক্ষেত্রে আবশ্যিক)
- নাগরিক সনদ
- পেশা প্রমাণের সনদ
- পূর্বের পাসপোর্টের ফটো কপি এবং মূল কপি (যাদের আগের পাসপোর্ট আছে)
- ই-পাসপোর্টের আবেদন অনলাইন কপি (প্রিন্ট কপি)
- পাসপোর্ট অ্যাপ্লিকেশন সামারি কপি (প্রিন্ট কপি)
- পাসপোর্ট ফি প্রদানের স্লিপ (মূল কপি/প্রিন্ট কপি)
- জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) অথবা অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English Version) (ফটো কপি এবং মূল কপি)
ই পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে ২০২৪
আপনারা তো অনেকেই জানেন না যে ই পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে। এটা অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে। আসুন এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে জেনে নেই পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে। যদিও উপরে ই পাসপোর্ট এর তিন ধরনের পদ্ধতিতে ডেলিভারি দেওয়া হয় আলোচনা করেছি। অতএব এই তিন ধরনের পদ্ধতিতে আপনি ডেলিভারি নিতে চাইলে ভিন্ন ভিন্ন চার্জ দিতে হবে। এই তিন ধরনের পদ্ধতি ডেলিভারি নিলে কত চার্জ হয় তার একটি ছক নিচে দেয়া হলো।
| বছর | পৃষ্ঠা | রেগুলার ডেলিভারি (১৫ থেকে ২১ দিন) | এক্সপ্রেস ডেলিভারি (৫থেকে ৭দিন) | সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারি (২ দিন) |
| ৫ | ৪৮ | ৪,০২৫ | ৬,৩২৫ | ৮,৬২৫ |
| ৫ | ৬৪ | ৬,৩২৫ | ৮,৬২৫ | ১২,০৭৫ |
| ১০ | ৪৮ | ৫,৭৫০ | ৮,০৫০ | ১০,৩৫০ |
| ১০ | ৬৪ | ৮,০৫০ | ১০,৩৫০ | ১৩,৮০০ |
উপরোক্ত টেবিলের নমুনা থেকে যেকোনো একটি মাধ্যমে আপনি আবেদন করে তাৎক্ষণা পাসপোর্ট পেতে পারেন।
ই পাসপোর্ট করতে বয়স কত লাগে
আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা যে এই পাসপোর্ট করতে বয়স কত লাগে। তাই এই অনুচ্ছেদে আপনাদের সাথে শেয়ার করব এই পাসপোর্ট করতে সঠিক বয়স কত। যদিও ই পাসপোর্ট করতে কোন বয়সের প্রয়োজন হয় না। আপনি যেকোনো বয়সেই পাসপোর্ট করতে পারবেন। তবে এর কিছু নিয়ম রয়েছে যা মেনে আপনি যেকোনো বয়সে ই পাসপোর্ট করতে পারবেন। আপনার বয়স যদি ২০ বছরে নিতে হয় তাহলে আপনাকে জন্ম নিবন্ধন দিয়ে পাসপোর্ট করতে হবে এবং ২০ বছর উপরে হলে আপনাকে ন্যাশনাল আইডি কার্ড দিয়ে পাসপোর্ট টি করত হবে।
ই পাসপোর্ট কেন দরকার হয়?
আপনি হয়ত জানেন ই পাসপোর্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল যা একজন ব্যক্তির ব্যক্তিগত সকল আধিকারিক তথ্য সনাক্ত করে এবং তাকে আন্তর্জাতিক ভ্রমণের সুযোগ দেয়। আপনি যদি এক দেশ থেকে অন্য দেশে ব্যক্তিগত কাজে বা ব্যবসার কাজে যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে এ পাসপোর্ট করতে হবে।
এই পাসপোর্ট এর মাধ্যমে আপনার ব্যক্তিগত সকল তথ্য এবং অন্য দেশের নাগরিকত্ব পেতে সহায়তা করবে। মূলত ই পাসপোর্ট এর কাজ হলো একজন ব্যক্তির আইডেন্টিটি এবং নাগরিকতা সনাক্ত করা। ই-পাসপোর্টের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে, এর মাধ্যমে ই-গেট ব্যবহার করে খুব দ্রুত ও সহজে ভ্রমণকারীরা যাতায়াত করতে পারবে। ফলে বিভিন্ন বিমানবন্দরে ভিসা চেকিংয়ের জন্য লাইনে দাঁড়াতে হবে না।
আমাদের শেষ কথা
আজকের এই সুন্দরতম প্রতিবেদনে ই পাসপোর্ট কত দিনে পাওয়া যায় এবং এই পাসপোর্ট নিয়ে নানাবিধ তথ্য আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করেছি। আশা করছি এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের এই পাসপোর্ট এর সকল তথ্য জানতে পেরেছেন। ই পাসপোর্টটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি তথ্য বহন করে বিদায় এটা সকলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আজকের এই প্রতিবেদন থেকে যদি আপনারা কোন উপকৃত হয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই সকলের মাঝে শেয়ার করে অন্যদেরকেও উপকৃত করবেন, ধন্যবাদ।




