সিটি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা 2025
ব্যাংক অথবা আর্থিক কোন প্রতিষ্ঠান থেকে ক্রেডিট কার্ড সংগ্রহ করা যায়। এই ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে কেনাকা*টা সহ বিভিন্ন ঋণ উত্তোলন ও পরিশোধ করা যায়। বর্তমান সময় এই ক্রেডিট কার্ড অনেক বেশি উপকারী এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি যন্ত্র। এই ক্রেডিট কার্ড প্লাস্টিক বা মেটালের তৈরি। তবে এই প্লাস্টিক বা মেটালের তৈরি ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা সবার থাকে না।
আপনি যে ব্যাংকেরই ক্রেডিট কার্ড সংগ্রহ করতে যান না কেন, এক্ষেত্রে তাদের দেওয়া নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে যোগ্যতা নির্বাচন করেই ক্রেডিট কার্ড সংগ্রহ করা যায়। তবে বাংলাদেশী বহু ব্যাংকের মধ্যে সিটি ব্যাংক অনেক বেশি পরিচিত এবং বিশ্বস্ত। অতএব আপনি যদি সিটি ব্যাংকের একটি ক্রেডিট কার্ড সংগ্রহ করতে চান। তাহলে আজকের আলোচনা থেকে অবশ্যই সিটি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা, নিয়ম, ও চার্জ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানুন।
সিটি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা
দি সিটি ব্যাংক তাদের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে ১৯৮৩ সালের ২৭ মার্চ। সিটি ব্যাংক লিমিটেড বাংলাদেশের একটি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক। বহুকাল পূর্বে থেকে সিটি ব্যাংক সাধারণ মানুষদেরকে অনেক সুবিধা প্রদান করে আসছেন।
একজন ব্যক্তিকে সিটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড সংগ্রহ করতে হলে তার নির্দিষ্ট কিছু যোগ্যতা রয়েছে। এমনকি ক্রেডিট কার্ড করতে গেলেও একটি নিয়ম অবলম্বন করে ক্রেডিট কার্ড সংগ্রহ করতে হয়। তবে অন্যান্য ব্যাংকের নিয়মের সাথে সিটি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা, নিয়ম, ও চার্জ অনেকটাই ভিন্ন রকমের।
তবে আপনার যদি সিটি ব্যাংকের কোন একাউন্ট থাকে। এক্ষেত্রে কি যোগ্যতা থাকলে আপনি সিটি ব্যাংকের একটি ক্রেডিট কার্ড পাবেন। এবং এই ক্রেডিট কার্ডের চার্জ কেমন তা বিস্তারিত আজকের আলোচনা থেকে জানতে পারবেন। তাই আপনার অনুসন্ধান করা তথ্যটি সহজে জেনে নেওয়ার জন্য একটু নিচে প্রবেশ করুন।
সিটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড করার নিয়ম
এই সিটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড করার ক্ষেত্রে বা ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম আপনাকে অনুসরণ করতে হবে। এ জন্য সিটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড করার নিয়মের প্রথম ধাপ হচ্ছে আবেদন করা। আবেদন করতে সিটি ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। তারপর ক্রেডিট কার্ড ট্যাবে ক্লিক করুন।
এছাড়া আপনার এলাকার বা আপনার জেলায় যে সিটি ব্যাংক অবস্থিত রয়েছে সেখানে উপস্থিত থেকে উল্লিখিত কর্মীদের সাথে যোগাযোগ করে নির্দিষ্ট পন্থা অবলম্বন করে সিটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন।
সিটিব্যাংক ক্রেডিট কার্ডে প্রযোজ্য চার্জ
সিটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে গেলে বিভিন্নভাবে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা চার্জ প্রযোজ্য হয়। যদি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন বা ব্যবহার করতে চলেছেন। তাদের জন্য এই ক্রেডিট কার্ডের প্রযোজ্য চার্জ সম্পর্কে ধারণা রাখা উচিত।
যেমন নগদ উত্তোলনের চার্জ উত্তোলিত পরিমাণের 2.5% বা 500 টাকা, যেটি কম হয়। সীমা ছাড়িয়ে গেলে চার্জ উত্তোলিত পরিমাণের 2.5% বা 500 টাকা, যেটি কম হয়।
বিলম্বে অর্থ প্রদানের জন্য চার্জ ২০০০ টাকা পর্যন্ত ব্যালেন্স ২০০০ থেকে ৭৫০০ টাকা। এবং ৬০০ টাকা পর্যন্ত ব্যালেন্স ৭৫০০ থেকে ১৫০০০ টাকা ও ৯৫০ টাকার উপরে ব্যালেন্স এবং ১৫০০০ – ১৩০০ টাকার সমান। সর্বোপরী চেক করুন বাউন্স বা ইসিএস রিটার্ন প্রতি বাউন্সে ৫০০ টাকা।
যেভাবে সিটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড নেবেন
যদি সিটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড সংগ্রহ করতে চান এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার একটি সিটি ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। এবং আপনার একাউন্টে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ উল্লেখ থাকতে হবে। এমনকি এই সিটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার ক্ষেত্রে আপনাকে আবেদন করতে হবে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের সাথে।
এক্ষেত্রে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি, আপনার ছবি লাগবে,পুরোনো ব্যাংক হিসাবপত্র, নমিনির পরিচয়পত্র এবং তাঁর ছবি ও স্বাক্ষর ইত্যাদি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। অতএব পরবর্তীতে আপনি সিটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড পাবেন কিনা তার যোগ্যতা অবশ্যই সেখানে অবস্থিত কর্মীরা যাচাই-বাছাই করবেন।
তবে ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার ক্ষেত্রে আপনার পেশাগত দিক সব থেকে বেশি গুরুত্ব আরোপ করা হবে। আপনি কি কাজ করছেন, এবং সেই কাজ অনুযায়ী আপনার একাউন্টে কত টাকা আছে। এবং প্রতি মাসে কত টাকা ইনকাম করছেন তার একটি তালিকা এখানে উল্লেখ থাকতে হবে।
অতএব আপনি যদি একজন চাকরিজীবী হয়ে থাকেন তাহলে সর্বনিম্ন আপনার একাউন্টের হিসাব নিকাশ তালিকা উল্লেখ করতে হবে ছয় মাসের এবং এবং চাকরির বয়সসীমা ও থাকতে হবে ছয় মাস। এবং আপনার প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ বেতনের তালিকা থাকতে হবে। তবে সর্বনিম্ন ৩০ হাজার টাকা বেতন বা তার বেশি।
সিটিব্যাংক ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা কী কী?
- বিরামিন বা ইচ্ছামত এ কার্ড ব্যবহার করে কেনাকা*টা করতে পারেন।
- এবং সবসময়ই এভোকেআর পরিশোধের মাধ্যমে আপনাকে ক্রেডিট কার্ডের স্কোর বৃদ্ধি করতে পারেন।
- যেকোনো সময় লেনদেন সম্পূর্ণ করতে পারবেন।
- আপনার ইমার্জেন্সি খরচের জন্য এখানে যথার্থ টাকা আপনি রাখতে পারেন।
- প্রতিটি এটিএম মেশিন এবং সিটি ব্যাংকের ইপিওএস এ নগদ টাকা তোলার জন্য খুব সহজে ব্যবহার করতে পারবেন।
- ব্যাঙ্কগুলি পেমেন্টের জন্য সু*দ-মুক্ত ইএমআই (সহজ মাসিক কিস্তি) সময় প্রদান করে।
সিটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের জন্য কীভাবে আবেদন করবেন?
ধরুন আপনার কাছে একটি সিটি ব্যাংকের একাউন্ট আছে। কিন্তু আপনি এখন পর্যন্ত যোগ্যতা সম্পন্ন হওয়া সত্বেও ক্রেডিট কার্ড সংগ্রহ করতে পারেননি। সে ক্ষেত্রে একটি প্রক্রিয়া অবলম্বন করলে সিটি ব্যাংক থেকে ক্রেডিট কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে আবেদন করতে হবে। আর কিভাবে আবেদন করবেন তা আপনাদের জানিয়ে দেওয়ার জন্য নিচে ধাপগুলো দেওয়া হয়েছে।
- সিটি ব্যাংকে আবেদন করার জন্য সর্বপ্রথম তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের লিং*ক হচ্ছে এটি https://www.online.citibank.co.in/
- ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর ক্রেডিট কার্ড নামে একটা অপশন দেখতে পাবেন সেই ট্যাবে ক্লিক করুন।
- আপনার উপযুক্ত ক্রেডিট কার্ড নির্বাচন করুন।
- তারপর ‘এখনই আবেদন করুন’ বিকল্পে ক্লিক করুন।
- আপনার করা আবেদন পত্রের প্রয়োজনীয় তথ্য উল্লেখ করুন।
- যেমন আপনার যোগাযোগের তথ্য, আপনার পেশাগত তথ্য, আপনার ঠিকানা যথাযথভাবে ফিলাপ করুন।
- আবেদন করার সময় ফর্মে আপনার প্যান নম্বর শেয়ার করুন।
অনলাইনে ছাড়াও আপনি সরাসরি যে কোন একটি সিটি ব্যাংকের শাখায় অবস্থান করে আবেদন করতে পারেন এই ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার জন্য। এক্ষেত্রে অফলাইনে পাশাপাশি উপস্থিত থেকে আবেদন করতে হলে একটি প্রয়োজনীয় ফরম পূরণ করতে হবে। ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা অনুযায়ী তথ্যগুলো যদি আপনার সাথে মিলে যায় তাহলে ব্যাঙ্ক আপনাকে একটি ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করবে।
শেষ কথা
আশা করতেছি আজকের আলোচনা থাকে আপনারা স্পষ্টভাবে সিটি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা, নিয়ম, ও চার্জ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। যদি এই পোস্ট আপনার কাছে উপকৃত মনে হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই অন্যান্য ব্যক্তিদেরকে এই পোস্টটি শেয়ার করে জানিয়ে দিবেন। যাতে কোন ব্যক্তি সিটি ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট খোলার পূর্বে তার যোগ্যতা এবং নিয়ম সম্পর্কে জানতে পারে। ধন্যবাদ